দরিয়া নগর ডেস্ক
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আবহমানকাল থেকেই এদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করে আসছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই প্রধান উপদেষ্টার কথামত আমরা সবাই এক পরিবার এবং এটা আমরা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। বহুবছর ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম এবং উপাসনালয় পাশাপাশি অবস্থান করছে এবং ধর্মচর্চা পালন করে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে একটি সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ।
আজ চট্টগ্রামের পাথরঘাটাস্থ সেন্টপ্লাসিট স্কুল ও চট্টগ্রাম জপমালা রানী ক্যাথিড্রাল গির্জা পরিদর্শন শেষে কাথলিক আর্চডাইয়োসিসের আর্চবিশপ হাউসে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম আর্চডাইয়োসিসের ভিকার জেনারেল ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স’র সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো: আবু আহসান, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও, চট্টগ্রামের বিভিন্ন গির্জার পাস্টারগণ, কাথলিক সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্রতধারী ব্রাদার ও সিস্টার এবং খ্রিস্টভক্তগণ উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম জপমালা রানী ক্যাথিড্রাল গীর্জা ৪০০ বছরের পুরোনো একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এখানে স্কুল, কলেজ এবং হাসপাতাল রয়েছে। এসবের পাশাপাশি এতিম, দুস্থ ও বিধবাদের জন্য স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মানবতার সেবায়ও আমাদের নিয়োজিত থাকা দরকার। বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুদের নিয়ে সমসাময়িক বিষয় যেমন ডেঙ্গু, মাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা এসব নিয়ে সেমিনার বা আলোচনা সভার আয়োজন করে সবার মাঝে সৌহার্দ্যে ও ভাতৃত্ত্ব বোধ জাগিয়ে তোলার আহ্বানও জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, একশ্রেনীর দুর্র্বূত্ত মাঝেমধ্যে উপসনালয়ে হামলা চালায়। আপনারা মনে রাখবেন রাষ্ট্র পক্ষপাতহীনভাবে প্রতিটি ধর্মের পাশে রয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ধর্মচর্চা, ধর্মঅনুশীলন এবং ধর্মপ্রচার এসব বিষয়ে সরকার সবসময় আপনাদের সহযোগিতা করে যাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবার প্রায় ৩২ হাজার মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। নির্বিঘ্নে পূজার কাযক্রম সম্পন্ন করার জন্য সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি ৬৪ জেলার ডিসি, এসপিকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে স্থানীয় লোকদের সাথে যোগাযোগ করে জোড়দার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমাদের উচিত সবাইকে সাথে নিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া।