নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে চন্দন দাস (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সেদিনের কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত এবং মাথায় হেলমেট পরা ব্যক্তিই চন্দন বলে চিহ্নিত করা হয়।
নগর পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল ভৈরব রেলস্টেশনের পাশে মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে চন্দনকে গ্রেফতার করে। আইনজীবী আলিফ হত্যায় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময় কৃঞ্চ দাসের অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে খুন হন।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার রয়েছেন ১০ জন।