সমুদ্রে ইলিশ রক্ষায় নৌবাহিনী ও মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান

কক্সবাজার চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় সমুদ্রে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

গেল ৪ অক্টোবর থেকে বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে বাহিনীটি। নৌবাহিনী জানায়, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল ও কমান্ডার বিএন ফ্লীট এর জাহাজ এবং বোটগুলো ৪ অক্টোবর থেকে অভিযানে প্রায় ৯ কোটি ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৫ টি টং জাল, ১২৩ টি বেহুন্দিসহ প্রায় ২২ লক্ষ ৮৮ হাজার মিটার অবৈধ জাল ও প্রায় ১৫’শ মণ ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ জব্দ করা হয়।

বাহিনী জানায়, ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ এবং বোট দ্বারা নিয়মিত বিশেষ টহল প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়াও গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সকল প্রকার সৎস্য শিকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট্ এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ ইলিশ আহরণ ও বিদেশি মাছ ধরার ট্রলারের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করে চলেছে। অভিযানকালে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত অসাধু ব্যক্তি ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানসমূহের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা, অবাধ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশের সুষ্ঠু সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা সর্বদা নিবেদিত থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সমৃিদ্ধতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়াও গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সকল প্রকার সৎস্য শিকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট্ এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে বলেও জানায় নৌবাহিনী।