চট্টগ্রামে “জলাবদ্ধতা কমাতে সংস্থাগুলোকে সমন্বয় করতে হবে” : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম

দরিয়া নগর ডেস্ক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে চলমান ৪টি প্রকল্প দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন জনগণের সহযোগিতা। জনগণকে সচেতন করতেও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ. এফ. হাসান আরিফ আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসণ চট্টগ্রামের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামের সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি জড়িত। এজন্য এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্থাগুলোকে ইগো ত্যাগ করে জনস্বার্থে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

ছবিঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম। এ সময় ডেঙ্গু থেকে জনগণকে বাঁচাতে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কীট এবং হঠাত করে রোগীর চাপ দেখা দিলে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেন বিভাগীয় কমিশনার।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সভায় সিভিল সার্জন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, জলাবদ্ধতা নিরসণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা। কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগী বা রোগীর স্বজনরা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নেন তাহলে মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মত পেশ করেন সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান, চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।