‘কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট’

জাতীয়

বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো এখন আর বিশেষ ধার না পাওয়ায় অনেক আমানতকারীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমার কারণে এসব ব্যাংকের খারাপ অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই।

সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত। সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়।

সরকার পতনের পর কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্জিত অর্থ নানা উপায়ে অনেকেই ঘরে রেখেছিলেন। নিরাপদ বোধ না করায় বিভিন্ন উপায়ে তারা ভালো ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন।

আবার সরকার পতনের পর থেকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না মানুষ। নগদ উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই বড় অঙ্কের আমানত তুলতে পারছে না।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা জলরাশির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং ১০ জন নিখোঁজ হয়েছে।

রামু, কক্সবাজারে তিনজন এবং ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করে ডুবে মারা গেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুসারে, বন্যায় ৩৬ লাখে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে রেল যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ২৬টি ট্রেনের চলাচল বাতিল ঘোষণা করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মুহুরি ও ফেনী নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে।

ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অন্তত ১২টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বর্ষা এবং উজান থেকে আসা জলরাশির কারণে ঘরছাড়া হয়েছে মানুষ। রাস্তাঘাট ও বসতঘরের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় অন্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও কক্সবাজার।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় শুক্রবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং শনিবার তা কমতে পারে।

তবে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসবে এবং শনিবার বা রোববার থেকে পানির স্তর নামতে শুরু করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ টেলিযোগাযোগের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় কয়েকটি ভি-স্যাট ইউনিট পাঠিয়েছে ।

এরিমধ্যে মাঠে নেমেছে সেনা ও নৌ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কাজ করছে ছাত্র সংগঠন, চিকিত্সক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দল।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে—বাংলাদেশে এমন একটি উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে এটি প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয় বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এ বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে ঘটেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটা কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) একটি বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়।

প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর অববাহিকায় তিনটি জায়গায় (অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া–২) পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে।

বুধবার থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পানির চাপে বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছাড়ার ঘটনা দেখা গেছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যাসংক্রান্ত যেকোনো তাৎক্ষণিক তথ্য বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পানিপ্রবাহ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার তথ্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘শীর্ষ ৫ ব্যবসায়ীর কর ফাঁকি অনুসন্ধান’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন ব্যবসায়ীর কর ফাঁকি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিশেষ তদন্ত কার্যক্রম চালু করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

এই পাঁচ ব্যবসায়ী পদত্যাগী শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাদের মধ্যে সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা।

ওই পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

অভিযোগ রয়েছে, ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান সাবেক সরকারের আমলে নানা ধরনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল এখন খতিয়ে দেখবে, তাদের প্রকৃত আয় ও ব্যয় কত, কর নথিতে সব সম্পদ দেখানো আছে কি না এবং আয় অনুসারে তারা কর দিয়েছেন কি না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইসি থেকে ওই পাঁচ ব্যবসায়ী ও তাদের সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের হিসাবের যাবতীয় তথ্য সিআইসির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত, এমন সন্দেহভাজন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের পর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সপরিবারে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।

গত ৪ঠা মে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী ও দলটির নেতা।

এর জন্য বেনজীরকে খরচ করতে হয়েছে সোয়া লাখ ডলার। এছাড়া পুলিশে উচ্চপদস্থ অন্তত ১০ কর্মকর্তাও বেনজীরকে সহায়তা করেছেন।

তাদের সহায়তায় সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেই তুরস্কের ভিসা করে ফেলেন। তিনি এখন সেখানেই আছেন। পুলিশ সূত্রের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে দেশ রূপান্তর।

সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে নানাভাবে সহায়তা করায় শীর্ষমহল তার ওপর খুশি ছিল। যার কারণে তাকে দেশের বাইরে চলে যাওযার অনুমতি দেওয়া হয়।

বেনজীর আহমেদকে পালাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে রাজি করান প্রভাবশালী সাবেক এক মন্ত্রী। এর জন্য ওই মন্ত্রীকে অন্তত সোয়া লাখ ডলার দিতে হয়েছে।

সাবেক ওই মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা এখন পলাতক।

পত্রিকা

যুগান্তরের পেছনের পাতার খবর, ‘পাচারের অর্থ ফেরানোর নামে আইওয়াশ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার রোধ বা পাচারের অর্থ ফেরাতে আওয়ামী লীগ সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। কেবল করণীয় নির্ধারণ করলেও আদতে বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই।

এ সংক্রান্ত সরকারের দুটি কমিটির গত কয়েক বছরের কার্য বিবরণী বিশ্লেষণ করে এই চিত্র দেখা গিয়েছে। তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায় মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে একটি টাস্ক ফোর্স ও একটি ওয়ার্কিং কমিটি রয়েছে।

এসব কমিটি তিন মাস অন্তর বৈঠক করে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে। এভাবে অনেক বিষয় সিদ্ধান্ত হলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থপাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিকরা ব্যস্ত ছিলেন অতিকথনে।

এদিকে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে সরকারের সদিচ্ছার অভাব ছিল।

এ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের দাবি, যাদের এসব করার কথা তারা নিজেরাই ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও দুর্নীতিবাজ।

তাদের মতে, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের সাথে তথ্য বিনিময় চুক্তি করতে পারেনি। আইনগতভাবে অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেনি।

অন্যদিকে টিআইবি জানিয়েছে, তথ্য পাচারকারীদের তথ্য জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কেননা অর্থ পাচারকারীরা ক্ষমতার বলয়ে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টরা ভয় পেতেন।

বিবিসি বাংলার আরো খবর:
পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৩ কোটি ডলার।

এক বছর আগে ২০২৩ সালের এ সময়ে প্রবাসীরা ১১২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন। সে হিসাবে চলতি আগস্টে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি।

রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি মাসে দেশের রিজার্ভ অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩১শে জুলাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১শে অগাস্টে এসেও তা একই অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে জুলাইয়ে রিজার্ভে যে ক্ষয় হয়েছে তা বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছেন।

এখন ব্যাংক খাতে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ই জুলাই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি, সহিংসতার ঘটনায় রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে রেমিট্যান্স প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যায়। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারো তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধে আবেদনকারী রিট আবেদন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর ফলে তার বক্তব্য প্রচারে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ বিষয়ে তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘এ রিট পিটিশনের পিটিশনার আইনজীবী আজ হাইকোর্টে এসে বলেছেন, এই রিট আর তিনি চালাতে চান না। নন প্রসিকিউশন করতে চান।’

এর ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি প্রচারে যে আইনি বাধা ছিল তা আর রইল না।

শেখ হাসিনা শাসনামলের ওই আদেশটি সংবিধান পরিপন্থী ছিল বলে মনে করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্ট এ রিট করেন।

রিটে বলা হয়েছিল, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়।