নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মহানগরীর রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংস হত্যা মামলার ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছ র্যাব।
গত রাতে-(১১ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগরের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে মো. সুমন নামের প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সে কুমিল্লাহ সদর দক্ষিণ থানার সুয়াগাজী এলাকার সুন্দর আলীর ছেলে।
শনিবার-১২ জুলাই, সকাল সাড়ে দশটার দিকে র্যাব-৭ এর চাদগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গত ৯ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগরীর রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাট বাসার ভেতরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে গুম করছিল ঘাতক স্বামী। পরবর্তীতে সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পানির ফ্লাসের শব্দ শুনে ১০ম তলায় ঘাতক সুমনের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করলে প্রায় ৩০ মিনিটি পর সুমন বাসার দরজা খুলে এবং বাসায় অস্বাভাবিক নড়াচড়ার ও পানির শব্দের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সুমন এলোমেলো কথাবার্তা বলে ও তাকে বাসায় প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। তবে সন্দেহ হওয়ায় সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান জোর পূর্বক সুমনের বাসায় ঢুকে রুমের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ, বাথরুমের ভিতরে রক্তামাখা কাপড় এবং কমেডে মাংস দেখতে পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে দরজায় বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে স্থানীয়দের সহায়তার জন্য নিচে গেলে ঘাতক সুমন কৌশূলে বাসার গ্রীল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সিকিউরিটি গার্ড মশিউর এবং স্থানীয় লোকজন বায়েজিদ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ভিকটিমের ক্ষত-বিক্ষত শরীরের অংশ বিশেষ এবং রুমের খাটের নিচ হতে ভিকটিমের পায়ের অংশ উদ্ধার করে।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ঘাতক সুমনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলার দায়ের করেন। এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়।
এই ঘটনায় মামলার পর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৭ ও র্যাব-০৯ে এর যৌথ অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ফুলবাড়িয়া থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাকৃত সুমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে দাবি র্যাবের।