যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোন থেকে মেয়েকে দূরে রেখেছেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক

বচ্চন বাড়ির মেয়ে বলে কথা! তাঁকে নিয়ে মানুষের প্রবল আগ্রহ। ঐশ্বরিয়া রাই, অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সব সময় চর্চায় থাকে মেয়ে আরাধ্য বচ্চনও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন কথা বলেছেন তাঁর পারিবারিক জীবন নিয়ে। মেয়ে আরাধ্যর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই মহামারির সময়েও কীভাবে এসব থেকে মেয়েকে দূরে রাখতে পেরেছেন তাঁরা।

আজকের ডিজিটাল যুগে, যখন তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগই ডুবে আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব আর স্লাপচ্যাটের রঙিন ভুবনে; সেখানে আরাধ্য বচ্চন একেবারেই ব্যতিক্রম। কোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না আরাধ্য। এমনকি তার কোনো ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও নেই।

অভিষেক বচ্চন বলেন, ‘আরাধ্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই, এমনকি তার ফোনও নেই। ও খুব অন্য রকমভাবেই বেড়ে উঠছে। ভীষণ সচেতন, বিবেকবান। ওর ব্যক্তিজীবনে আমরা কেউ কখনো হস্তক্ষেপ করতে চাই না। ও ধীরে ধীরে একজন অসাধারণ নারী হয়ে উঠছে। ও আমাদের পরিবারের গর্ব, ওকে ঘিরেই আমাদের সব আনন্দ। দিন শেষে একটা সুখী পরিবারই মানুষকে ভালো রাখে।’

আরাধ্যর জন্মের পর থেকে ঐশ্বরিয়ার জীবনের প্রায়োরিটি বদলেছে। কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। যেখানেই যান, মেয়ে থাকে সঙ্গে। প্রতি মুহূর্তে আগলে রাখেন মেয়েকে। আরাধ্যকে বড় করে তোলার ক্ষেত্রে নিজের চেয়ে স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার অবদান সবচেয়ে বেশি, স্বীকার করলেন অভিষেক। এ জন্য ঐশ্বরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করলেন।

অভিষেক বলেন, ‘সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ওর মাকে দিতে হবে। আমি কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় বাইরে থাকি। আরাধ্যর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম ঐশ্বরিয়াই করে। সে অসাধারণ, নিঃস্বার্থ। আসলে মায়েদের মতো এত স্যাক্রিফাইস কেউ করতে পারে না। তাদের কাছে সন্তানই প্রথম এবং শেষ প্রায়োরিটি। সেই কারণেই আমাদের সবার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হলেন মা। তাই আরাধ্যর সাফল্যের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ঐশ্বরিয়ার।’