নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি এলাকায় বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্যকে অস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ গ্রেফতার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
গত ১৯/০৬/২৫খ্রি. লোহাগাড়া থানায় কর্মরত এসআই (নি.) মো. কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওয়ারেন্ট তামিল এবং মাদক উদ্ধারের নিমিত্ত বিশেষ অভিযান ডিউটি করছিলেন। চুনতি বাজারে অবস্থানকালে গোপনসূত্রে সংবাদ পান ১০/১২ জন ডাকাত পটিয়া থানা এলাকায় ডাকাতি করে ডাকাতির মালামাল এবং অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চকরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই (নি.) মো. কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওইদিন সকাল ৬টা হতে ৯:৩০ মিনিট পর্যন্ত লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি বন বিভাগের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করেন। সকাল ৮:৩০ মিনিটে একটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ (রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো-১১-৮৮৫৩) তল্লাশির সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন আরও ৭ ডাকাত পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান চলমান।
আটককৃতরা হলো:
১। আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৫২), পিতা-নুরুল আলম, সাং-পশ্চিম কাথারিয়া, থানা-বাশঁখালী, জেলা-চট্টগ্রাম।
২। ছাদেকুর রহমান (৩১), পিতা-মৃত জেবল হোসেন, সাং-ফুলতলা, ৩নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা,
৩। কামাল (৩৫), পিতা-মো. মাসুক, সাং-চকরিয়া বাজার পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা।
৪। কেফায়েত হোসেন (২৪), পিতা-মৃত আলমগীর ফারুক, সাং-পূর্ব বড় ভেওলা, সিকদার পাড়া, সর্বথানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
আটক আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, সিঁধেল চুরিসহ অন্যান্য ধারায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। আটক কামালের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং সিঁধেল চুরির দুইটি মামলা রয়েছে।
আটককৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধারকৃত মালামাল:
২টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ১টি রামদা, ১টি টিপছুরি, ২টি চাকু, ১টি লোহা কাটার কাঁচি, ২টি শাবল, ২টি ধারালো দা, ১টি টর্চলাইট, নগদ ১৬হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০৪টি মোবাইল, একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে, তারা পটিয়া থানা এলাকার ফকিরপাড়ায় ডাকাতি করে মালামালসহ কক্সবাজারের দিকে পালাচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।
উল্লেখ্য যে, ঈদুল আজহার পূর্বে ঈদ নিরাপত্তা অভিযানে লোহাগাড়া থানা পুলিশ ১০জন গরু চোর এবং ৯জন চিহ্নিত ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল। যার কারণে ঈদের আগে লোহাগাড়া থানা এলাকায় চুরি-ডাকাতির মতো সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো অপরাধ ঘটেনি।