নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হলো মাসব্যপী ফুল উৎসব। সবুজ ও জলাশয়বেষ্টিত ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও এ রকম আয়োজন অনুস্মরণ করতে পারে। চট্টগ্রাম পারলে অন্য জেলাগুলো কেন পারবে না! এ আয়োজন অনন্য এবং স্মরণীয় আয়োজন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, এবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজনে ১৯৪ একর জায়গা জুড়ে নানা নান্দনিকতায় ফুলে ফুলে ডিসি পার্ক সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ-গাঁদাসহ দেশি-বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির ফুল থাকবে প্রদর্শনীতে।
তিনি আরও বরেন, এবারের ফুল উৎসব বিগত সময়ের চেয়ে বড় পরিসরে হচ্ছে। এবারই প্রথম উৎসবে যুক্ত হয়েছে ভাসমান ফ্লাওয়ার গার্ডেন। উৎসব ঘিরে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব, লোকজ সংস্কৃতির মেলা বসবে। প্রতিদিন মঞ্চে থাকবে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, দর্শকপ্রিয় করতে দুবাইয়ের মিরাকল গার্ডেনের আদলে বাগান সাজানো হয়েছে। ফুল উৎসবের পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক আয়োজন, ঘুড়ি, ভায়োলিন ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান উৎসব। ফুল উৎসব শুরুর আগেই হাজারো দর্শক আসছেন প্রতিদিন।
তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। টিকিটের মূল্য হবে জনপ্রতি ৫০ টাকা। উৎসব ঘিরে বসবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা, হস্তশিল্প এবং স্থানীয় খাবার সমৃদ্ধ গ্রামীণ মেলা। সেই সঙ্গে চলবে নাচ, গান, ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
ফুল উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা জানান, শহরের বাইরে এমন একটি আয়োজন অনেক বেশি উপভোগ্য। আর শহরের যান্ত্রিকতা থেকে বের হয়ে এমন স্নিগ্ধ পরিবেশে ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়ানো যেন স্বপ্নের মত লাগছে। দর্শনার্থীরা চান এমন আয়োজন যেন সারা দেশে হোক। মানুষ যাতে সবুজ ও সুন্দরের মাঝে নিশ্বাস নিতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনসহ সিনিয়র কর্মকর্তারাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।