ছবিটি সত্যিই মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সন্তানের আনন্দের এক অসাধারণ উদাহরণ। ছবিটি দেখে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে একটি গল্প লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম , যেখানে মা ও ছেলের ভালোবাসা ফুটে উঠেছে:
পথের ধারে বসে আছে রিনা, কোলে তার ছোট্ট ছেলে আরাফ। দিনমজুরের কাজ করতে করতে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে রিনা বেঁচে থাকার জন্য মানুষের করুণা ভিক্ষা করছে। তার একমাত্র শক্তি, তার ছেলেটি। রিনার মন যতই ভারাক্রান্ত থাকুক, আরাফের হাসি যেন তার পৃথিবীটাকে রঙিন করে তোলে।
সকালবেলা রিনা তার পুরোনো কাঁথাটা বিছিয়ে রোদেলা দিনের নিচে বসে। আরাফ তার কোলে বসে এক হাতে মায়ের আঁচল ধরে আর অন্য হাতে চারপাশে আঙুল তুলে কিছু দেখানোর চেষ্টা করছে। রাস্তার মানুষজনের চলাচল দেখে সে অবাক হয়, আর রিনা তার মিষ্টি হাসিটা দেখে বোঝে যে আরাফ কিছু বোঝার চেষ্টা করছে।
একজন পথচারী থেমে গিয়ে আরাফের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকায়। সেই সময় আরাফ এমন একটা হাসি দেয়, যেন পুরো পৃথিবীটা হাসির আলোয় ভরে গেল। রিনা তার ছেলেকে কাছে টেনে নিয়ে বলে,
“তুই আমার রাজপুত্র, জানিস? এই পৃথিবীতে কিছু না থাকুক, তোর এই হাসিটাই আমার সব সুখ।”
আরাফ হয়তো বোঝে না যে তাদের জীবনে কত কষ্ট, কত অভাব। তার জন্য মায়ের ছোট্ট ভিক্ষার থালা মানে শুধুই এক রঙিন খেলা। রিনার জন্য এই ছোট্ট ছেলেটা তার রাজ্য, তার রাজত্ব।
একদিন আরাফ বড় হবে। হয়তো সে তার মাকে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু যতদিন তা না হয়, রিনার শক্তি আর সাহস এই ছোট্ট ছেলেটার নিখাদ ভালোবাসা। কারণ মা-ছেলের এই সম্পর্ক কোনো শর্ত ছাড়াই গড়া, যেখানে হাসিটাই সবকিছু জয় করে নেয়।
রিনা ভাবলো, “আমাদের জীবনটা হয়তো কঠিন, কিন্তু তুই থাকলে আমি সব পারব। তুই-ই আমার পৃথিবী।”
গল্পটি আমাদের শেখায় যে জীবনের কষ্ট যত বড়ই হোক, সন্তানের ভালোবাসা ও মায়ের ত্যাগ তার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। মা ও সন্তানের বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ও শুদ্ধ ভালোবাসার উদাহরণ।