বঙ্গোপসাগরে এলপিজিবাহী জাহাজে ভয়াবহ আগুন- উদ্ধার ২১

কক্সবাজার

দরিয়া নগর ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে এলপিজিবাহী একটি লাইটারেজ জাহাজে ভয়াবহ আগুন লেগেছে।বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে  কুতুবদিয়ার উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙর এলাকায় “সুফিয়া” নামের ওই এলপিজিবাহী জাহাজটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে উদ্ধারে যান উদ্ধারকারীরা। নৌবাহিনী জানায়, জাহাজে থাকা ২১ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, ‘জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে এতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর উদ্ধার কাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ।

নৌবাহিনী জানায়, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া অ্যাঙ্করেজের দক্ষিণে অবস্থানরত এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ সুফিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে নৌবাহিনীর পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজসহ কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ। মধ্যরাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বহির্নোঙ্গরে টহলে থাকা নৌবাহিনী জাহাজ শাপলা।

পরে নৌবাহিনীর আরও চারটি জাহাজ ও কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়। নৌবাহিনী ও  কোস্টগার্ডের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুনের ভয়াবহতা অনেকটাই  ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এ ছাড়া জাহাজটিতে থাকা ২১ জন ক্রুকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের মেডিকেল দল। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তবে এই ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটেকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ৫ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামে দুইটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পৃথক দুটি ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায়ও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।