২য় বারের মত চট্টগ্রামেও ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা :

এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া চিকিৎসক স্বীকৃতি দেয়া বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আরো ৭টি বেসরকারী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

এ দাবিতে গত দুদিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। আজ দুপুরে ৫ দফা দাবী আদায়ের কর্মসূচী হিসেবে জেলা সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি প্রদান করে ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। এসময় আন্দোলনকারী বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তারা এসব দাবি সরকারের কাছে জানিয়ে আসলেও, কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে যে কেউ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে অপচিকিৎসা করছেন। এতে মূল চিকিৎসকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। একইসাথে বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করাসহ চিকিৎসক সংকট কাটাতে জরুরী ভিত্তিতে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রোববার সকাল থেকে হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন থেকে বিরতিতে ছিলেন তারা। তবে ১-মার্চ চমেক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও গত দুইদিন ধরে আবারও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে ব্যাহত হচ্ছে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বর্জন করেছেন ক্লাস ও পরীক্ষা। ফলে কার্যত অচল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। তবে আন্দোলনের আওতামুক্ত রয়েছে জরুরী বিভাগ, অপারেশন সেবা ও ইনডোর।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আরো জানান, আগামীকাল মেডিকেল এসিস্ট্যান্টদের করা মামলার রায় যদি তাদের অনুকূলে না আসে তাহলে ১৩ মার্চ থেকে সর্বাত্মক শাট ডউন কর্মসূচী চলবে। এদিকে চমেক হাসপাতালের পরিচালক জানান, ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্হা কিছুটা ব্যাহত হলেও হাসপাতালের ডাক্তার নার্সেদের বাড়তি ডিউটির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চলমান আছে।