পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রতিনিয়ত রাতের আধারে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন রাত হলে পাহাড়ের উপরে নেমে আসে এক অমানবিক অত্যাচার।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, জাকের হোসাইন, কামাল, মুজিব, বদর আলম, ইনিয়াদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় পাহাড় কাটার চিহ্ন, বড় বড় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হয়।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই এলাকায় বিভিন্ন পাহাড় কাটা হয়েছে। তবে পাহাড় কাটা বন্ধ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসনের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই কাটা হচ্ছে পাহাড়। স্থানীয় ছৈয়দ আলম ও মোশাররফ নামের দুই ব্যক্তি কন্ট্রাকে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় কেটে রাতের অন্ধকারে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করে আসছে। তাঁরা দুইজনের নেতৃত্বে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলে। ১০/১২ দিন ধরে উঁচু উঁচু পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলার অভিযোগও আছে। ছৈয়দ আলম ও মোশাররফ তাঁরা পাহাড় কাটছে তাদের আশ্রয়দাতারা সবাই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে স্থানীয়রা। তাদের এভাবে পাহাড় কাটার পক্ষে মত না থাকলেও প্রতিবাদ করার মতো অবস্থা নেই কারো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাতে আধারে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে, এই পাহাড় কেটে সারারাত ভর ডাম্পার গাড়ি চলাচলের কারণে আমরা ঘুমাতে পারিনা। স্থানীয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ছৈয়দ আলম এবং মোশাররফ নামের দুই জনের নেতৃত্বে দিনরাত পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। এই দুই জন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা না হলে পাহাড় পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলবে।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা অভিযানে গেলে ওরা পালিয়ে যায়, আমরা নিয়মিত অভিযানে যাব।