নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার–সেন্ট মার্টিন নৌপথে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার কথা থাকলেও পিছিয়ে গেল আরো ুদুই দিন। অনুমতি পাওয়া জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যাবে। তবে তারা বলছেন, পর্যটক সংকটের কারণে জাহাজ ছাড়া যায়নি।
এ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাওয়ায় শঙ্কা কাটছে না ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও সেন্টমার্টিনবাসীর। এত বিধি নিষেধ ও অব্যবস্থাপনার মাঝে পর্যটক যাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে দ্বীপবাসীর মাঝে।
মূলত নভেম্বর মাসে দেওয়া সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভ্রমণে পর্যটকদের আগ্রহ কমে আসছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার্থে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের ফলে পর্যটকের ভরা মৌসুমে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকায় হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা, সেন্টমার্টিনবাসী। তারা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন রক্ষার নামে ৪ মাস যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করণের বিষয়টি অযৌক্তিক এবং আত্মঘাতী। এতে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দ্বীপবাসী।
এই নির্দেশনা সংস্কারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে স্মরণকালের সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিটিং-মিছিলসহ আন্দোলন ও করেছে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা ও স্থানীয়রা। ফলে গত ১৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী সেন্টমার্টিনের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ এবং সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণে জন্য কক্সবাজার সদর ও টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদ্বয়কে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির সদস্যসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনা মেনে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট হিসেবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট ব্যবহারে সিদ্ধান্ত হয়। যদিও জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব তা নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে।