চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু

চট্টগ্রাম

দরিয়া নগর ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকার কালির ছড়া খাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি লিংক রোডের সুপারি বাগান ও লেক সিটি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের কাট্টলী ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী।

তবে নোটিশ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযানের অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা কর্মকর্তারা উচ্ছেদে বাধা দেন এবং বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। এরপর সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী তাদের পাহাড় কমিটির নির্দেশনা ও পাহাড়ে স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশ অধিদফতরের আইন সম্পর্কে জানান।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) খালের সীমানা বিবেচনায় না নিয়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়ায় এরকম ঘটনা ঘটেছে।

অভিযান পরিচালনাকারীরা জানান, ‘উনারা প্রথমে বাধা দিলেও আমাদের উচ্ছেদ অভিযানে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা ৩৫টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। রাস্তায় এখন হাত দিচ্ছি না। তাহলে মানুষ চলাফেরা করতে পারবে না।’

অভিযানের পরিচালনার দায়ীত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কালিছড়া খালটি সীতাকুন্ড পাহাড় থেকে এসে সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলেছে। সময়ে বিবর্তনে এ খাল নাব্যতা হ্রাস, অবৈধ দখল ও ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে এখন এর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কিছু কিছু জায়গায় সরু নালায় রুপান্তরিত হয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা আছে পরিবেশের আর কোনো ক্ষতি করা যাবে না। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে আমরা সেগুলোকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছি।’

গত ১৭ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় লেক সিটি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।