নিজস্ব প্রতিবেদক:
গভীর সমুদ্রে ডাকাতির কবলে পড়ে একটি ফিশিং ট্রলার। ডাকাতদল লুট করে নিয়ে যায় ট্রলারে থাকা মাছ, খাবার সামগ্রী, জাল ও ইঞ্জিনের ব্যাটারি। এরপর ব্যাটারি ছাড়া ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় ৩ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকে ট্রলারটি। ওই ট্রলারে ১৫ জন জেলে ছিল। গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তারা। একপর্যায়ে কোস্টগার্ড তাদেরকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৮ আগস্ট মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ১৫ জন জেলেসহ ১টি মাছ ধরার ট্রলার সমুদ্রে গমন করে। পরবর্তীতে গত ১২ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর গাংগুরিয়ার চরের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে ডাকাতির কবলে পড়ে। এসময় বোটে থাকা মাছ, খাবার সামগ্রী, ইঞ্জিনের ব্যাটারি, তেল ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।
মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতার বাহিরে থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় জেলেরা তিনদিন যাবৎ ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ফিশিং বোটটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড স্টেশান ভাসানচর। অভিযানে ডাকাতের কবলে পড়া ১৫ জন জেলেসহ ইঞ্জিন বিকল হওয়া বোটটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে বিসিজি স্টেশান ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে, উদ্ধারকৃত ১৫ জন জেলেসহ ফিশিং বোটটি মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।