নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহিরাগতদের কাছে ঘাটের ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর ১৬টি ঘাটে ধর্মঘট ও বৈঠা বর্জন কর্মসূচি পালন করছে সাম্পান মাঝিরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর এসব ঘাটে সাম্পান চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে ১২ শতাধিক সাম্পান মাঝি।
বংশ পরম্পরাই জন্মগত পেশাদার পাটনিজীবী (সাম্পান মাঝি) সমিতিগুলোকে সদরঘাট, অভয়মিত্রঘাট ও বাংলাবাজার নৌ ঘাট না দিয়ে বহিরাগতদের খাস আদায়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীর ১৬ ঘাটে সাম্পান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বেকায়দায় পড়ছেন যাত্রীরা।
এতে নতুন ব্রিজ ঘাট, তোতারবাপের হাট, বিডব্লিউ ঘাট, দক্ষিণপাড় পুরাতন ব্রিজঘাট, সদরঘাট, অভয়মিত্র, কর্ণফুলী ঘাট, বাংলা বাজার ঘাট, সল্টগোলা ঘাটে (পাটনিজীবী নাই) ইঞ্জিনচালিত সাম্পান চলাচল বন্ধ দেখা যায়। তবে জরুরি রোগী সেবা ও খাদ্যদ্রব্যের পারাপারে মানবিকতা দেখাচ্ছেন মাঝিরা। নদীর অন্যান্য ঘাটে যাত্রী পারাপার চলছে।
সাম্পান মাঝিরা জানান, ২০০৩ সালের পাটনিজীবী নীতিমালা তোয়াক্কা না করে একের পর এক অবৈধভাবে মাঝিদের ঘাট ছাড়া করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এতে দেয়ালে মাঝিমাল্লাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়েছে বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করতে।
চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পেশাগত সাম্পান মাঝি (পাটনিজীবী) থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে পাটনিজীবী নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ইজারা দিচ্ছে। ঘাট হারা মাঝিরা সিটি করপোরেশনে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তাই বৈঠা বর্জন চলছে।’
নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন স্যারদের জানিয়েছি।