অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বর্তমানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার চেষ্টা করছে। এখনই না হলেও ইরানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ভারতের ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র গাই নীর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হামাস এবং হিজবুল্লাহর প্রধানকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, তারা অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরান মিলিটারি নামে একটি ভেরিফায়েড পেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়, তাদের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
প্রায় এক বছর আগে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন ও সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর এটিই ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা। একই সঙ্গে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্য একটি বৃহত্তর যুদ্ধের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাই নীর বলেছেন, ‘যদি তিনি (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা করেন তবে এটি তাদের (ইরান) জন্য একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে। মঙ্গলবারের হামলার ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া হবে কৌশলগত, পিন-পয়েন্টেড তবে পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধ নয়। আমি মনে করি না, কোনো পক্ষই এটা চায়।’
সাক্ষাৎকারে গাই নীর যেসব দেশ ইসরায়েলে হামলার ক্ষেত্রে ইরানে সহযোগী হতে চায় তাদেরও সতর্ক করেছেন গাই নীর। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো দেশ ইরানের সঙ্গে যোগ দিতে চায়—তবে আমি আশা করি যে, তারা তা করবে না—তাদের জন্যও ফলাফল ধ্বংসাত্মক হবে।’
এর আগে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র দানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঠিক সময়মতোই এর জবাব দেওয়া হবে।
এর আগে, ইসরায়েল বলেছিল যে তাদের সৈন্যরা ‘সীমিত’ স্থল অভিযানের জন্য দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে। তবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর ওই অঞ্চলে প্রবেশের তথ্য অস্বীকার করেছে।