নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণে বান্দরবানের মর্যাদা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে, মসজিদের মাধ্যমে আমরা নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুন্নত ছড়িয়ে দিতে চাই। বেদআত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে চাই। যত বেশি মসজিদ হবে, মানুষ তত বেশি নামাজি হবে—নামাজির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
আজ ৫ জুলাই-শনিবার বন্দরবানের মেঘলায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তি ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, মসজিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা অপরাধমুক্ত সমাজ তৈরি করা সম্ম্ভব। কেননা সমাজে যখন মানুষ নিয়মিত নামাজ পড়েন তখন খারাপকাজ, গুনাহ’র কাজ ,অশ্লীলতা কমে যায়। নামাজের কারনে মানুষ ইহকাল পরকালে শান্তি পায়। নামাজের কারনে মানুষ সহজে হিংস্র হতে পারেনা, অন্যের ক্ষতি করতে পারেনা।
উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জেলা গণপূর্ত বিভাগ। চার তলা বিশিষ্ট এই মডেল মসজিদে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের সুব্যবস্থা, ইসলামিক লাইব্রেরি, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ১০ তলা উঁচু মিনার, সম্মেলন কক্ষ, হিফজখানা/মক্তব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, লাশ গোসলের ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের স্থান, বিশাল সাহান, সুবিশাল গাড়ি পার্কিং, ইসলামি বই বিক্রির সুভেনির শপ, অতিথিশালা, ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের থাকার কক্ষ, ইসলামি গবেষণা কেন্দ্রসহ থাকেবে নানা সুবিধা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল হাওলাদার, বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান, মডেল মসজিদ প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদুল আলম, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাইছার ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম প্রমুখ।