নাফ নদীতে ‌‘গোলাগুলি’ নিহত ১, ইয়াবা-অস্ত্রসহ আটক ১৬

টেকনাফ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

টেকনাফের নাফ নদীতে চোরাকারবারিদের সাথে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের গোলাগুলিতে মোসলেহ উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যাক্তি চোরাকারবারি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্রসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্য পাঁচজন রোহিঙ্গা।

শুক্রবার মধ্যরাতে নাফনদীর মোহনায় নাইক্ষ্যং দিয়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে ট্রলারে চোরাকারবারিদের একটি মাদকের চালান পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জলসীমায়র ভেতরে সন্দেহজনক বোটকে থামার সংকেত দেয় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহল টিম।

সংকেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে বোটি কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে এবং ট্রলার থেকে চোরাকারবারিরা কোস্ট গার্ডকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি করতে থাকে। এসময় কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে এবং বোটটিকে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি চালায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ট্রলার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর ট্রলার থেকে ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারী আটক করা হয়। ট্রলার তল্লাশি করে ১০ হাজার ইয়াবা , তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড তাজা গোলা পাওয়া যায়।

কোস্টগার্ড জানায়,আটককৃত ডাকাত ও মাদক পাচারকারীরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নাফ নদীতে ফেলে দেয়। ফেলে দেয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘সকালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তাঁর মৃত্যু হয়।