নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম ছিনতাইকারীদের আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বারিকবিল্ডিং মোড়ে ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা একটি খালি জায়গায় একটি টিনশেড ঘরে ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। আর তাদেরকে ছুরিকাঘাত করার পরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ঘটনাস্থল থেকে লুটকৃত টাকা, ছিনতাই-ডাকাতির সরঞ্জাম এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, ওই জায়গায় ছিনতাইকারীদের আস্তানার কথা ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। সদরঘাট, বন্দর ও ডবলমুরিং থানা পুলিশেরও জানা ছিল বিষয়টি।
আহত দুজন পুলিশ সদস্য হলেন—ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল এবং নজরুল।
আটক দুই ছিনতাই চক্রের সদস্য হলেন—তারেক এবং জুয়েল।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে—বারিকবিল্ডিংয়ে পেশাদার ছিনতাইকারীদের আস্তানা রয়েছে। সেই খবরে ঘটনাস্থলে যান ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক জামিল এবং নজরুল। সেখানে গিয়ে তারা স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পান এবং ছিনতাই চক্রের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর তারা ওই চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান চালালেই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশ গিয়ে দুইজনকে আটক করে এবং আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে নগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মনির, মেহেদী, তারেক, জুয়েল, রাজু, ভান্ডারি এবং রবি এখানে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যেসব সরঞ্জাম নিয়ে তারা ডাকাতি করে সেগুলো তারা প্রস্তুত করছিল। তারা মূলত ছিনতাই-চুরিই করে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত টাকাগুলো তারা এখানে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। আমাদের ডবলমুরিং থানার টিম এখানে এসে দুইজনকে আটক করে। বাকি অন্যান্যরা আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’