নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছয় দফা দাবিতে চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী কাপন মিছিল করেছে। ১৬ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালনে করে আসছে তারা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনিস্টিউট এলাকায় কাফন মিছিল করে তারা।
এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘এক হও, এক হও, পলিটেকনিক এক হও’, ‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার’, ‘ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনিস্টিউটের ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জামিল হোসেন বলেন, ‘৬ দফা দাবি নিয়ে গতকাল রাতে সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল, কিন্তু ওনারা বসেন নাই। বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলন পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল রাতে মশাল মিছিল করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের কাফন মিছিল করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্বনিয়োগ দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।