বিজয় দিবসে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

কক্সবাজার

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার ||

মহান বিজয় দিবসের লাল-সবুজের আবেশে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে নামে হাজারো পর্যটকের ঢল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণি পয়েন্টে জাতীয় পতাকা হাতে ছবি তোলা, সমুদ্রস্নান ও বিভিন্ন বিনোদনে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। শীতের আমেজ আর বিজয়ের আনন্দে সৈকতের বালুচর ছিল প্রাণবন্ত।

শরিয়তপুর থেকে আসা পর্যটক মীর আহনাফ শরীফ বলেন, ‘লাল-সবুজের পতাকা হাতে সমুদ্রের সামনে দাঁড়ালে দেশপ্রেমটা আরও গভীরভাবে অনুভব করা যায়। পরিবারের সঙ্গে এমন দিনে এখানে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চারা বিজয় দিবসে কক্সবাজার দেখছে। তারা আনন্দ করছে। এই স্মৃতিগুলো তাদের মনে সারাজীবন থেকে যাবে। এমন পরিবেশে জাতীয় দিবস কাটাতে পারাটা সত্যিই আনন্দের।’

পর্যটকদের ভিড়ে বাড়তি ব্যস্ততা দেখা গেছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিচ বাইক, ঘোড়া ও জেট স্কির ব্যবসায়। ব্যবসায়ীরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ভালো আয় হচ্ছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে সৈকতে মোতায়েন রয়েছে লাইফগার্ড, বিচকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক দল। বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘বিজয় দিবসে পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। নিরাপদ এলাকা চিহ্নিত করে পর্যটকদের সমুদ্র উপভোগ করতে অনুরোধ করছি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান (অতিরিক্ত ডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন,‘পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে ট্যুরিস্ট দ্রুত সহযোগিতা করবে। একই সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনেও পর্যটকের চাপ বেড়েছে। ছয়টি জাহাজে প্রায় দুই হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে গেছেন।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনগামী সব জাহাজের টিকিট আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।