পেকুয়ায় সড়কের বেহাল দশা; ভোগান্তিতে আট গ্রামের মানুষ

পেকুয়া

আমিরুল ইসলাম রাশেদ; পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংস্কারের অভাব বেহাল দশা সড়কের।  এতে ভোগান্তিতে রয়েছে আট গ্রামের হাজারও মানুষ।

এই সড়ক এখন যেন রীতিমতো পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।  সড়রেক কাঠামো থাকলেও অসংখ্য গর্ত আর ক্ষতবিক্ষত এমন পরিস্থিতিতে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে শের আলী মাস্টার পড়া সড়কটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের শের আলী মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে ৬৪/২বি পোল্ডার ১৪ নম্বর স্লুইসগেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি মূলত একটি বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থিত।

এক সময় এখানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চললেও বর্তমানে শের আলী মাস্টার পাড়া থেকে রাজাখালী সংযোগ বাঁশের সাঁকো পর্যন্ত সীমিত চলাচল রয়েছে।  স্লুইসগেট অংশ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ।  বিভিন্ন জায়গায় কাদা জমে থাকায় সাধারণ মানুষের হাঁটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের উদ্যোগে এই সড়কে ইট বিছানো হয়েছিল।  এরপর থেকে সড়কটির আর কোনো আলো দেখেনি।  যার ফলে শের আলী মাস্টার পাড়া, মিতান্তঘোনা, গাজিপাড়া, সোনাইয়াকাটা, পণ্ডিতপাড়া, হায়দারী ঘোনা, সায়ের পাড়া ও সিকদার পাড়া গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘সড়কের এমন অবস্থা যে গাড়ি চালানোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।  যাত্রীও তুলি না, আয়ও কমে গেছে।  অথচ রাজাখালী আরব শাহ বাজার, টইটংয়ের বটতলি, জুমপাড়া, আলিগ্যাকাটা ও মাদ্রাসা পাড়ার মানুষের সাপ্তাহিক বাজারে যাতায়াতের এই সড়কই অন্যতম ভরসা।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ বলেন, ‘সড়কটির উন্নয়ন করা সম্ভব কি না, তা সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’