খাঁন মাহমুদ আইউব :
অর্ধ শতাধিক বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। এই মাঠ থেকে তৈরী হয়েছে জাতীয় ও বিভাগীয় অনেক খেলোয়াড়। অথচ সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনে এই মাঠ রাতারাতি বেদখল হয়ে পরিণত হচ্ছে সবজি বাজারে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে খেলোয়াড় ও স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ উপজেলার খেলার উপযোগী টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠ। দ্বীর্ঘ বছর অর্থের অভাবে মাঠটি ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলে মাঠটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি ও টেকনাফ পৌর সভার অর্থায়নে মাঠে মাটি ভরাট করে চতুরপাশে গাইড ওয়াল দিয়ে মাঠটি ভরাট করে খেলার উপযোগী করা হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন মৌসুমে ফুটবল ও ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ সভা সমাবেশের পাশাপাশি প্রতিদিন বিকেলে খেলোয়াড়দের খেলাধুলায় প্রাণ ফিরে পায় উপজেলার খেলার মাঠটি।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠের উত্তর ও পূর্ব পাড়ে বাউন্ডারী ঘেঁষে খালি জায়গায় কয়েক বছর ধরে দুটি সবজি দোকান ছিলো। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলের পর বাউন্ডারীর ভিতরে দখল করে বসেছে কিছু সবজির দোকান। এসব অবৈধ দোকানের কারনে খেলাধুলার সমস্যা হচ্ছে। একই সাথে উত্তরপাশে সড়ক থাকায় মানুষের হাটা চলা ও যান চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে, তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দোকান বসিয়েছেন বলে দাবী করেন।
বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির আহবায়ক জাহেদ হোসাইন মাহমুদ জানান, তরকারী ব্যবসায়ীরা মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে ওই জায়গায় দোকান বসানোর প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। মানবিক বিবেচনায় সল্প সময়ের মধ্যে দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মাঠ দখল মুক্ত করা হবে।
উপজেল ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর অবৈধ দখলদারদের মাঠের পাশ থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।