Jamaat workers attacked chairman Halim in Qutubdia

কুতুবদিয়ায় চেয়ারম্যান হালিমের উপর জামায়াত কর্মীদের হামলা

কুতুবদিয়া

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় স্থানীয় জামায়াত ইসলামির নেতা-কর্মী কর্তৃক উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম দু’দফায় হামলার শিকার হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা ও রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার ধুরুং বাজারের পৃথক স্থানে দু’দফায় হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে হামলাকারীদের বাধার তোপে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে ওই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। পরে যৌথ বাহিনীর প্রটোকলে তাদের হাসাপাতালে নেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ওই বাজারের উত্তর পাশে কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন দোকানের সামনে অবস্থান করেন চেয়ারম্যান হালিম। এসময় পাওনা টাকার জের ধরে জামায়াতের এক নেতাকে গালি দেয়ার বাহানা দিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের জামায়াতের ২০/৩০ জন নেতাকর্মী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

পরে জিপ গাড়িযোগে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে জামায়াতের শ’খানেক কর্মী সড়কে গাড়ি আটকে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে ফের হামলা চালিয়ে ওই চেয়ারম্যান ও তার ৩/৪ জন লোককে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে গুরুতর আহত করে। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মৌলানা নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় জামায়াতের ২/৩ জন কর্মীও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

আহতরা হলেন, উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, মনিরুল ইসলাম, মোবারক, ড্রাইভার মনু, মামুর উদ্দিন, মোরশেদ আলম ও জামায়াত নেতা বেলাল হোসেন, জিয়াউল করিম, আতিকুর রহমান। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই চেয়ারম্যান ও বেলালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়েতের উদ্যোগে দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন সভাপতি বেলাল হোছাইনের উপর উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার হামলা করেছে দাবী করে চেয়ারম্যানের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়েত নেতৃবৃন্দ। 

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন জানায়, আহদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।