কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট ও ঝুপড়িসহ সব স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সংগঠনের প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইয়েসের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন, চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, বাংলাদেশ নদী পরিভ্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ এবং যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুহেনা মোস্তফা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতের বালিয়াড়িতে শত শত দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনবহির্ভূতভাবে কিছু দোকানের লাইসেন্সও প্রদান করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় স্মারকলিপিতে।
পরিবেশবাদীরা বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রসৈকত ইসিএ ঘোষিত এলাকা। ফলে এখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এসব স্থাপনা নির্মাণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও পূর্বে সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
জনস্বার্থে এসব অবৈধ দোকান ও স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি সৈকতে ব্যবসার জন্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত সব লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।