তারেকুর রহমান, কক্সবাজার ||
সাধের কক্সবাজার দেখা হলো না কুমিল্লার আমিনুল হকের পরিবারের। সমুদ্র দেখার আনন্দযাত্রা পরিণত হলো মৃত্যুর মিছিলে। কক্সবাজার পৌঁছার মাত্র ৫০ কিলোমিটার আগে চকরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিঃশেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার হাঁসেরদিঘী ঢালায় যাত্রীবাহী বাস ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওই পরিবারের পাঁচজন।
নিহতরা হলেন- আমিনুল হকের বোন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী সাদিয়া হক, শ্যালিকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার, আমিনুলের স্ত্রী, বৃদ্ধা মা এবং শাশুড়ি।
গুরুতর আহত হয়েছেন- আমিনুল হক, তার শিশুকন্যা এবং শ্যালক। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নিহতদের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চান্দিশকরা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চকরিয়ার হাঁসেরদিঘী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা মারছা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালাই। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নিহতদের মরদেহ মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতগতি এবং অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”












