১৮ বছর ধরে বন্ধ করিয়ারদ্বিয়া-উজানটিয়া ব্রিজের কাজ, ভোগান্তিতে ৫০ হাজার মানুষ

পেকুয়া

আমিরুল ইসলাম রাশেদ, পেকুয়া সংবাদদাতা ;

১৮বছরের বেশি সময় ধরে অদৃশ্য কারণে বন্ধ রয়েছে করিয়ারদ্বিয়া-উজানটিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ। ফলে ভোগান্তিতে দুই পাড়ের ৫০ হাজার মানুষ।

পেকুয়া উপজেলায় উজানটিয়া নদীর এক পাড়ে উজানটিয়া, অপর পাড়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়া। বিচ্ছিন্ন দুই জনপদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ২০০৬ সালের মে মাসে নদীর ওপর শুরু হয় ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণকাজ। নির্মাণ করা হয় আটটি পিলারও। কিন্তু ২০০৮ সালের এক এগারোর পর ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেতুর নির্মাণকাজ। এর পর আর শুরু করা হয়নি এ সেতুর কাজ।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের আওতায় পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় করিয়ারদ্বিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

করিয়ারদ্বিয়া ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, লবণ ও চিংড়ি উৎপাদন করে করিয়ারদিয়া দ্বীপের মানুষ সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য করিয়ারদ্বিয়া-উজানটিয়া সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই।

পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, আমাদের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপ করিয়ারদিয়া, পেকুয়া উজানটিয়ার সবচেয়ে শিল্প এলাকা বললে চলে। বিশেষ করে লবণ, চিংড়ি নিয়ে ওখানকার লোকেরা স্বাবলম্বী। যোগাযোগের জন্য একটি সেতু না থাকায় ব্যবসা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই ব্রিজটি নির্মাণ হলে অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে ।

পেকুয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিডি) কার্যালয়ের প্রকৌশলী আসিফ মাাহমুদ বলেন, করিয়ারদ্বিয়া যে দ্বীপটি আছে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ এটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন আছে, একসময় এলজিডি থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্রিজটি করা সম্ভব হয়নি। তবে আমি চেষ্টা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি। এই দ্বীপটিকে কানেক্টিং করার জন্য ব্রিজের মাধ্যমে আশা করি ব্যবস্থাটা গ্রহণ করা হলে দ্বীপ এবং উপজেলাবাসী উভয় উপকৃত হবে।

এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের করিয়ারদ্বিয়ায় একটি দ্বীপ রয়েছে, এখানে সব চেয়ে বেশি লবণ ও মৎস্য চাষ করা হয়। এক সময় একটি ব্রিজের প্রস্তাবনা ছিল এবং ব্রিজের কাজ চলমান ছিল পরবর্তীতে প্রেক্ষাপটে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্রিজটি নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পাঠাবো এটা নির্মাণ হলে করিয়ারদ্বিয়া দ্বীপে যে সহ দ্রব্য পণ্য রয়েছে আমাদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।