নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আহমেদ নেওয়াজ নামে এক যুবক লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন। এতে দুজনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন, চালক মুজিবুর রহমান ও হেলপার রিফাত। তারা দুজনেই ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বাসিন্দা মজিবুর রহমান (৪০) ও তাঁর ছেলে (ট্রাকটির চালকের সহকারী) রিফাত মিয়ার (১৮) নামে থানায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসনাত ও সারজিস আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাঁদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো গাড়ি ছিল। সাইফুলের গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজি রাস্তার মাথা। ওই এলাকায় বহরের গাড়িগুলো গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। প্রথমে ১২টি মোটরসাইকেল ও পাজেরো গাড়িটি মহাসড়কে ওঠে। ওই পাজেরো গাড়িতে হাসনাত-সারজিস ছিলেন। পরে একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে উঠতেই চট্টগ্রামমুখী একটি মালবাহী ট্রাক গাড়িটির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে কারটির সামনের বাঁ দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটিতে হাসনাত-সারজিসের কয়েকজন সফরসঙ্গী ছিলেন। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যেতে চাইলে বহরে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা ধাওয়া দিয়ে চালক ও সহকারীকে আটক করেন। পরে তাঁদের লোহাগাড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর হাসনাত-সারজিস লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সহকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।