হাথুরুসিংহেকে রাখতে চান না নতুন সভাপতি ফারুক

খেলাধুলা
ক্রীড়া প্রতিবেদক

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের পদে রাখার কোনো কারণ দেখেন না—বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার আগেই গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন ফারুক আহমেদ।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও নিজের কথাতে অটল রইলেন ফারুক। হাথুরুসিংহেকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে রাখতে চান না তিনি।

আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে হয়ে যাওয়া বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ই–মেইলের মাধ্যমে নাজমুল হাসান পদত্যাগ করেন। একই সভায় ফারুক আহমেদকে নতুন বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তিটা কী, সেটা আমি ঠিক জানি না। আমি আগের জায়গাতেই আছি। আমি যা বলেছি, সেটা থেকে সরে যাইনি। এখন আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জিনিস দেখতে হবে। কীভাবে কী করা দরকার, তাঁর চেয়ে ভালো কাউকে পাই কি না, বা কাছাকাছি যারা ভালো করতে পারবে…এটা দেখব, তারপর কথা বলব। আমি আসলে ওই স্ট্যান্ড থেকে সরিনি।’

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন হাথুরুসিংহে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত রয়েছে বিসিবির সঙ্গে তাঁর চুক্তি। এর আগে জাতীয় দলের কোচ পদে পরিবর্তন আসবে কি না, এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদের কথা, ‘এই মুহূর্তে বলা কঠিন। দুই-তিন দিন আমাদের কলিগদের সঙ্গে কথা বলি। একজন কোচকে যখন আনা হয়, তখন নিশ্চয়ই তিন-চারজনের শর্ট লিস্ট থাকে। অন্যরা আসতে পারবে, নাকি পারবে না—এটা দেখতে হবে।’

স্থানীয় কোচদের প্রসঙ্গও এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। এ ব্যাপারে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লোকাল কোচ আমার মনে হয় খুব ভালো আছে। তবে আমিই একমাত্র ডিসিশন মেকার হওয়া উচিত নয়। হয়তো আমার ওপর দায়িত্বটা বেশি। কারণ, আমি সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু অন্যদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *