আবুল কাশেম: কুতুবদিয়া
পাকিস্তানে বসতে যাওয়া ব্লাইন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিতে বাংলাদেশ দল আগামী ২০ নভেম্বর পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
এবার বাংলদেশ দলের নেতৃত্বে দিবেন কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া দ্বীপের সন্তান আরিফ উল্লাহ। সে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলে খেলে আসছেন। কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের জুলেখার পাড়া গ্রামের সাবেক এমইউপি নুরুল ইসলামের কনিষ্ঠ সন্তান।
বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রয়েছেন দ্বীপের আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার একই গ্রামের তানজিলুর রহমান। পেশায় প্রাথমিকের শিক্ষক ও দলের সাবেক অধিনায়ক তানজিল দলে খেলবেন বি-১ ক্যাটাগরিতে।
আগামী ২৩ নভেম্বর শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের মাঠের লড়াই। দেশের হয়ে খেলতে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে বিভিন্ন সিরিজসহ তিনটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের।
স্পেশাল টাইগারদের নতুন অধিনায়ক আরিফ বলেন, ‘অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। আসন্ন বিশ্বকাপে আমি এই দায়িত্ব দারুণভাবে উপভোগ করবো। আমাদের দলে কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমরা দুর্দান্ত পারফর্ম করছি, সেরাদের সঙ্গে আমরা লড়াই করতে পারি।
বিগত বিশ্বকাপে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে শক্তিশালী ইন্ডিয়ার কাছে হেরে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য ট্রফি অর্জন।এজন্য দেশ ও জেলাবাসীর কাছে দোয়া চাই।
‘প্রসঙ্গত, জীবনসংগ্রামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে ১৯২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এই খেলার প্রবর্তন হয়। নিয়ম কানুন স্বাভাবিক ক্রিকেটের মতো হলেও বোলিংয়ে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। একাদশে চারজন সম্পূর্ণ অথবা আংশিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খেলেন।