কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনের পূর্বে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় দুই দফায় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ও বিকেলে সেন্টমার্টিন এলাকা থেকে মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
সকালে আটকদের মধ্যে রয়েছেন, সেন্টমার্টিন মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বশর আহমদের ছেলে ট্রলার মালিক নুর মোহাম্মদ (৩৫), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল আলমসহ ছয়জন রোহিঙ্গা জেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবছার উদ্দিন শাওন বলেন, মাছ ধরার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে স্রোতের টানে মিয়ানমার সীমান্তে চলে যায়। এ সময় আরাকান আর্মি ট্রলার মালিকসহ ছয়জন জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, ট্রলারসহ ছয়জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে এবং বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় উপকূলীয় নিরাপত্তা টহল চলাকালে মংডু টাউনশিপের মাইন হ্লুট ক্রিক এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বাংলাদেশ থেকে আসা একটি মাছ ধরার নৌকাকে অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে দেখে আটক করা হয়। নৌকাটিতে ছয়জন জেলে ছিলেন।
এসময় ১৫টি নাইলন জাল, একটি জিপিএস সংযুক্ত মোবাইল ফোন, ৫০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রা) ও প্রায় ৩৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত আলামতসহ নৌকাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে একই দিন বিকেলে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ সাতজন রোহিঙ্গা মাঝিমাল্লাকে আটক করে আরাকান আর্মি।
টেকনাফ পৌর কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, “আটক সাতজনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।”












