শুধু আ. লীগ অফিসের সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি: এনসিপি নেতা

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র–জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।

বুধবার (২১ অক্টোবর) এ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির নেতারা বলেন, কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যাতায়াত করতেন। কার্যক্রমও চলত। প্রশাসন এ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় লোকজনের আহ্বানে এনসিপির নেতা-কর্মীরা ওই কার্যালয়ে যান।

আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরের বিপ্লব উদ্যানে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনসিপির চট্টগ্রাম নগর সমন্বয় কমিটি। এতে বক্তব্য দেন এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন ও মোহাম্মদ এরফানুল হক। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যালয় দখল ও ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এর নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কর্মীরাও ছিলেন।

ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।