কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে দখলমুক্ত জায়গায় আবারও নতুন করে স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এদিন সকাল ১১টার দিকে শহরের কস্তুরাঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত অভিযানে পুনর্নির্মিত প্রায় ৫০টি স্থাপনা সরিয়ে নিতে মালিকদের একদিন সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা না সরালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন।
বিআইডব্লিউটিএ’র কক্সবাজার অঞ্চলের বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াকি বলেন, গত ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর তীরে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০০ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মাস না যেতেই আবার কিছু দখলদার সেখানে স্থাপনা তুলতে শুরু করে। তাই জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দখলমুক্ত জায়গায় নতুন করে কোনো স্থাপনা তুললে তা সরিয়ে ফেলতে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২০১৯ সালের যৌথ জরিপ অনুযায়ী নদীর সীমানার মধ্যে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা ধাপে ধাপে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে আব্দুল ওয়াকি বলেন, নদী বন্দর নির্মাণ ও বাঁকখালী নদী সংরক্ষণের জন্য ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট বাঁকখালী নদীর সীমানা চিহ্নিত করে চার মাসের মধ্যে দখলদার উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে অভিযান শুরু হলেও স্থানীয় বাধার কারণে তা সাময়িক স্থগিত হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাঁকখালী নদী রক্ষায় এবার প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।