কক্সবাজার প্রতিনিধি
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে আলোচনা সভা শেষে একে একে প্রতিমাগুলো সৈকতের লাবণী পয়েন্ট অংশের সমুদ্রের জলরাশিতে বিসর্জন দেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন মন্দির থেকে ৪২টি প্রধান প্রতিমার সঙ্গে এসেছে ছোট-বড় প্রায় ২৫০ প্রতিমা।
এ উপলক্ষে লাবণী পয়েন্টে আয়োজন করা হয় সম্প্রীতি সমাবেশ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, “কক্সবাজারে সম্প্রীতির যে অটুট বন্ধন রয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুধু আনন্দের নয়, সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য স্থাপনেরও বড় মাধ্যম। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
এ সময় পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, “কক্সবাজারের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। এখানে দুর্গাপূজা হোক বা ঈদ, সব উৎসবই সবাই মিলে উদযাপন করে। এই মিলনই প্রমাণ করে কক্সবাজার সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা মানুষের পাশে থাকবে, যাতে সবাই নিরাপদে উৎসব পালন করতে পারে।”
বিসর্জন ঘিরে লাবণী পয়েন্টে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল প্রস্তুত ছিল দুর্ঘটনা এড়াতে।
ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট পরিণত হয় এক সম্প্রীতির মিলনমেলায়।