বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা বিভাগ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত শিক্ষা উপদেষ্টার

জাতীয়

 

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা বিভাগ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন তিনি এমন ইংঙ্গিত দেন।

বিভাগ বিভাজনের ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বইয়ের মলাটে যা আছে, সেগুলোর সংস্কার করতে হবে। আবার ভেতরে কিছু লেখা যাতে অতিদ্রুত সংশোধন করা যায়। আসল সমস্যা হবে, এখন যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা মাঝখানে পড়ে গেল। আগামী বছরে দশম শ্রেণিতে যারা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা বিভাগে পড়তে চায়; স্কুল পর্যায় থেকে শুরু না করলে কলেজ পর্যায়ে গিয়ে তারা সেটি পারবে না।

নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই সংস্কার প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাক্রম অনেক দুর্বল। তবে আমাদের হাতে সময় নেই, যতটুকু পারি পরিবর্তন করা হবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাস আসতে বেশি দিন সময় নেই। এরমধ্যে সারাদেশের পাঠ্যবই তৈরি করতে হবে। এই পাঠ্যবই ছাপার চক্র রয়েছে। যারা কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছে। সময় থাকলে পুরো শিক্ষাক্রম সাজিয়ে নতুন বইগুলো দিতে পারতাম।

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি করতে চাইলে অনেক সময় লাগবে। তবে আশা করছি আধুনিক শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য প্রারম্ভিক সূচনা করে যেতে পারব।

তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেকে ঢুকে গেছে। অভিভাবকরা চিন্তিত ছিলেন, তাদের বাচ্চারা কিছু পড়ছে না। কী কী সব প্রজেক্ট করছে তারা সেটি বুঝতে পারছে না এবং মূল্যায়নের পদ্ধতিও বুঝতে পারছে না। আমি দুয়েকটি বই দেখেছি। এগুলো দেখে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে ভাবছি। এই বাংলা আমি নিজে বুঝি না। আমি বুঝি না আসলে কি করে মূল্যায়ন হয়। সবার আগে পরীক্ষা দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এবারের মুদ্রণে যেহেতু বাণিজ্য হবে না, পাঠ্যবইগুলো দৃষ্টিনন্দন হবে, কাগজ এত খারাপ হবে না, ছাপায়ও বেশি ভুল থাকবে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে যতটুকু পারি কমিয়ে এনে, নিজে দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করব বইগুলো যাতে ঠিক সময়ে মুদ্রিত হয়। আর্থিক অনিয়ম হবে না এটি আমি নিশ্চিত করব। লেখায় কী ধরনের পরিবর্তন আসবে তা নির্ধারণে আমরা একটি কমিটি তৈরি করে দিচ্ছি। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে আমাদের গাইডলাইনে তিনি তৈরি করে দিবেন।

টেন্ডারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে যা আছে সব বন্ধ। ৩৫-৩৬ কোটি বই এত কম সময়ে ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু পারি চেষ্টা করব।

শিক্ষা খাতে সব ধরনের অন্যায় চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যত ধরনের অন্যায় আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব। এখন তো শুরু করেছি প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *