পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বালুদস্যুদের বেপরোয়ায় ধ্বংস হচ্ছে পাহাড় ও ফসলি জমি। কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসনের।
(২০ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় টৈটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া ঢালার মুখ, চৌকিদারপাড়া, মধুখালী ৮টি মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এইসব বালুদস্যূরা ।
অভিযোগ আছে ঢালার মুখে নবী হোসেন ওরফে নবু মেম্বারের ছেলে খোকন(৩৫)তাঁর জামাতা নুরুল আবছার(৩৭), ফসলি জমি নষ্ট করে বালি উত্তোলন করছেন। চৌকিদারপাড়া মৌলভী সিরাজ(৫০),ও জসিম উদ্দীন(৪০), খেতের জমি রিজার্ভ জায়গা ভেঙ্গে বালু উত্তোলন করছেন। নেজাম উদ্দীন(৩৮),পাহাড়ি ছাড়া ভেঙ্গে বালি উত্তোলন করছেন। বাদশা রিজার্ভ পাহাড়ের অংশ ভেঙ্গে বালি উত্তোলন করছেন।, বনকাননে যুবলীগ নেতা জাকের হোছাইন রিজার্ভ পাহাড় ভেঙ্গে বালি উত্তোলন করছেন।
বালুদস্যুদের বেপরোয়া তৎপরতায় পাহাড় ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য।
রিজার্ভে অবস্থিত মেশিন বনবিভাগ গিয়ে একাধিক বার বন্ধ করেছেন। বনবিভাগ চলে আসার পর পুনরায় চালু করছে। আজ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বালু উত্তোলনে নিষেধ করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ চলে আসার পর পুনরায় কয়েকজন চালু করেছে বালি উত্তোলনের মেশিন।
স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি বলেন, বালিদস্যুদের সাথে স্থানীয় কতিপয় রাজনীতিক নেতার গভীর সম্পর্ক, তাদের প্রশ্রয় ও আশ্রয়ে বালুদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব বালুদস্যুরা কাউকে পরোয়া করছে না। বনবিভাগকের লোকজনকে অনেকে হুমকি দিয়েছে। বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান না হলে এসব বালিদস্যুদের থামানো যাবে না।এসব দমনে প্রশাসনের কঠোর অভিযান জোরদার করা দরকার।
এই বিষয়ে জাকের হোসেনের সাথে কথা হলে এই মেশিন তাঁর নয় বলে জানান।
এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন চৌধুরীকে সরাসরি না পেয়ে মুটোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়া হইছে বলে জানান।