দরিয়া নগর ডেস্ক
সম্প্রতি নিজেদের প্রথম অগমেন্টেড রিয়ালিটি গ্লাস ‘ওরিয়ন’-এর প্রোটোটাইপ দেখিয়েছে ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটা।
বুধবার কোম্পানির বার্ষিক ‘কানেক্ট’ সম্মেলনের সময় মেটা একে নিজস্ব পণ্যের জন্য এমন এক অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা ভার্চুয়াল জগৎকে বাস্তব জগতে নিয়ে আসবে।
“এটি এমন এক স্পর্শযোগ্য জগৎ, যার ওপর হলোগ্রাম বসানো হয়েছে,” সম্মেলনের মঞ্চে একটি ধাতব স্যাশি থেকে কালো রঙের গ্লাসগুলো বের করার পর বলেন মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
“আপাতত আমার মনে হচ্ছে, ওরিয়নকে দেখার সঠিক উপায় হতে পারে একে একটি টাইম মেশিন হিসেবে বিবেচনা করা। এদের অস্তিত্ব আছে, এগুলো খুবই ভালো ও ভবিষ্যতের খানিকটা ঝলকও মেলে এতে, যা খুবই রোমাঞ্চকর কিছু হতে যাচ্ছে বলে মনে করি আমি।”
এদিকে, আয়োজনটিতে নিজেদের নতুন এআই চ্যাটবটের বিভিন্ন সক্ষমতা ও একটি নতুন ‘কোয়েস্ট’ মিক্সড-রিয়ালিটি হেডসেটও দেখিয়েছে মেটা। এর পরপরই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য প্রায় এক শতাংশ বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৬৮ দশমিক ৩১ ডলারে।
গ্লাসগুলো ম্যাগনেশিয়াম শংকর থেকে তৈরি আর এতে মেটার নকশা করা কাস্টম সিলিকনও আছে। আর ব্যবহারকারী ‘হ্যান্ড-ট্র্যাকিং’, কণ্ঠস্বর ও হাতের কব্জিতে পরা নিউরাল ইন্টারফেইস দিয়ে এই গ্লাস নিয়ন্ত্রণের সুবিধা পাবেন।
জাকারবার্গ বলেন, পরবর্তীতে বাজারে ছাড়ার আগে গ্লাসগুলোকে আরও ছোট, মসৃণ ও সাশ্রয়ী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে তার কোম্পানি।
শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এরইমধ্যে বিভিন্ন এআর ডিভাইস তৈরির কাজ শুরু করেছে। তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ডিভাইসগুলো এখন পর্যন্ত ব্যর্থই বলা যায়। যেমন- গুগলের ‘গ্লাস’ নামের এআর গ্লাসগুলো।
মেটার লক্ষ্য, ২০২৭ সাল নাগাদ গ্রাহকদের হাতে নিজেদের প্রথম বাণিজ্যিক এআর গ্লাস পৌঁছে দেওয়া। ততদিনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সহায়তায় এগুলো উৎপাদনের খরচও কমে আসা উচিৎ বলে আয়োজনটি শুরুর আগে এক সূত্র বলেছে রয়টার্সকে।