তারেকুর রহমান, কক্সবাজার ||
দীর্ঘ নয় মাস পর আগামী সপ্তাহের শুরুতে খুলছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। তবে এবারও সেখানে রাতযাপনের অনুমতি না থাকায় হতাশ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রাত্রিযাপন বন্ধ থাকলে পর্যটক কমবে, এতে হোটেল-রেস্তোরাঁ, নৌযান ও দোকানপাটের আয় মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত ২২ অক্টোবর সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে। এতে নভেম্বরে শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাতযাপনের সুযোগ থাকবে, আর ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপটি আবার বন্ধ থাকবে।
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন। টিকিট নিতে হবে ট্যুরিজম বোর্ডের অনলাইন পোর্টাল থেকে, যেখানে কিউআর কোড ও ট্রাভেল পাস বাধ্যতামূলক। কেয়াবনে প্রবেশ, সৈকতে বারবিকিউ, আলো-শব্দ সৃষ্টি ও মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দ্বীপের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত সীমাবদ্ধতায় পর্যটন-নির্ভর জীবিকা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। সেন্টমার্টিন বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, “নয় মাস বন্ধ থাকার পরও আবারও নানা নিষেধাজ্ঞা। দোকানপাট বন্ধ, পর্যটক নেই, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।”
সেন্টমার্টিন বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিন কক্সবাজার শহর থেকে দূরের পথ। আসতে এবং যেতে দিনের সময় টা চলে যায়। রাত্রিযাপন ছাড়া পর্যটক আসবে না এখানে। বর্তমানে আমরা ক্ষতির মুখে জীবন যাপন করছি।”
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, “দ্বীপের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে গেছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রলার, দোকান সবখানেই নেমে এসেছে অচলাবস্থা। স্থানীয় মানুষগুলো মূলত পর্যটননির্ভর জীবিকা চালায়। এখন তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমরা দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার পক্ষে, তবে জীবিকার দিকটাও যেন সরকার বিবেচনায় নেয় এটাই আমাদের মিনতি।”












