তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ

টেকনাফ

মিজানুর রহমান মিজানঃ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে উত্তাল রয়েছে সাগর এবং বৃদ্ধি পেয়েছে জোয়ারের পানিও। ফলে উত্তার সাগরের তীব্র ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভ সড়কে। এতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ অংশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেড়েছে পানি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম ও ছিদ্দিক আহমদ।

তারা জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পূর্ণিমার জোয়ারে এই সড়কের একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সে সময় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর একটি বিশেষ ইউনিট দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করে। তবে দুই বছর না যেতেই আবারও জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়েছে এবং ঢেউয়ের ধাক্কা শুরু হয়েছে। ফলে পূর্বের মতো বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ। ছবি- দরিয়া নগর

বৈরী আবহওয়ার কারণে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৩ নং সতর্কতা সংকেত দিয়েছে স্থানীয় আবহওয়া অফিস।

বৈরী আবহওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ প্রায় বিলিনের পথে।

স্থানিয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রতি বছর মেরিন ড্রাইভ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। আমরা এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনীকে এই বিষয়টি অবগত করেছি।

তিনি আরও জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে মেরিন ড্রাইভ সড়কের আক্রান্ত স্থানে মেরামত করা জরুরী। তা না হলে স্বপ্নের এই মেরিন ড্রাইভ অচিরেই বিলিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ। ছবি- দরিয়া নগর

স্থানীয়দের অভিযোগ, মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে প্রভাবশালী অনেকে জমি কিনে তা ভরাট করার জন্য সড়কের পাশের সমুদ্রসৈকত থেকে বালু তুলছেন। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং সড়ক আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাছাড়া, পূর্বে স্থাপন করা জিও ব্যাগগুলোর অনেকগুলোতেই ফাটল দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ঢেউয়ের ধাক্কায় বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।