কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে ফের গোলার শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হয়। এতে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে ছিলেন। অনেকেই চিংড়ি প্রজেক্টসহ সীমান্তবর্তী এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসেন।
এদিকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশের সময় প্রতিহত করেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।
বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “কিছু লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে, সেখানে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। গোলার শব্দের বিষয়টি আমাদের ইউনিটের বাইরে।”
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু বলেন, “দীর্ঘদিন পর ফের সীমান্তে গোলার শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কাও বেড়েছে।”
১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি শামসুল আলম বলেন, “রাখাইনে পরিস্থিতি ভয়াবহ। অনেকে জীবন বাঁচাতে সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। তবে অনুপ্রবেশ না করতে পারায় তারা সীমান্তেই অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, “রোহিঙ্গারা যদি এদেশে ঢুকে পড়ে, তবে সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হতে পারে এবং স্থানীয়দের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্ট গার্ড স্থল-জল পথে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।”