টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় গোলাগুলি, আতঙ্কে সাধারণ রোহিঙ্গারা

টেকনাফ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে আবারও ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নুর কামাল-সাদ্দাম গ্রুপের সঙ্গে সালেহ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষে টানা তিন ঘণ্টা ধরে গুলি চলে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১০টার পর থেকে উপজেলার নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে এ গুলিবিনিময় শুরু হয়। রাত ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গুলির শব্দে পুরো ক্যাম্প এলাকা কেঁপে ওঠে। হঠাৎ চারদিক থেকে ছোড়া গুলির শব্দে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, “নুর কামাল ও সাদ্দাম গ্রুপ একত্রিত হয়ে সালেহ গ্রুপের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এপিবিএন সদস্যরা একাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমন ও ক্যাম্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ টিম পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নুর উদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, “প্রতিদিনই ক্যাম্প ও আশপাশের পাহাড়ে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই, যেন এসব সংঘর্ষ বন্ধ হয়।”

স্থানীয় রোহিঙ্গাদের দাবি, টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে এখনো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ক্যাম্পে ঘটে যাচ্ছে গোলাগুলি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধ।

সম্প্রতি এপিবিএন তোহা গ্রুপের প্রধান তোহাকে আটক করেছে। এর আগে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ডাকাত শফি গ্রুপের প্রধান শফিকে বিপুল অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযান সত্ত্বেও ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো নাজুক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।