টেকনাফ প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের র্যাব ও বন বিভাগের সদস্যদের দু’দিন অভিযান পরিচালনার মুখে অপহৃত ১৯ শ্রমিককে একদিন পরে ডাকাতদল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ সময় সন্দেহজনক দু’জন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়ার সালেহ আহমেদের ছেলে ওমর হাসের ও একই গ্রামের
আব্দুলের ছেলে মো. আলী।
আজ মঙ্গলবার ( ৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড় থেকে তারা ফেরত আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ টেকনাফ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. তৌহিদ।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে ১৯ শ্রমিক ডাকাতদলের হাতে অপহরণের শিকার হয়।এ ঘটনার পর থেকে র্যাব সিপিসি-২ ও সিপিসি-১ এবং পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্য সহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সর্বশেষ পাহাড়ে ড্রোন ব্যবহার করে অপহৃত ভিকটিম ও ডাকাতদলের সদস্যদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জাদিমুড়া পাহাড়ে অভিযান পরিচালকালে ডাকাতদল আমাদের অভিযানের মুখে অপহৃত শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ সময় সন্দেহজনক দু’জন অপহরণ কারী দলের সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন,অপহৃত ভিকটিমদের চিকিৎসা সেবা সহ তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ভোরে অপহৃত অপর ৯ জনকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, উদ্ধার হওয়াদের পাহাড় থেকে বের করা হচ্ছে। তাদের থানায় আনা হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান মো. আবদুর রহিম।
এর আগে সোমবার রাত সাএ ১১ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
টেকনাফ থানার তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ১৮আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর এই পর্যন্ত টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে ১৪ টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা অন্তত ৬৫। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।