দরিয়া নগর ডেস্ক
২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণে বাড়িতে ফিরে এসেছে টেকনাফের অপহৃত ৯ কৃষক। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে অপহৃত কৃষকরা ফিরে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অপহরণের শিকার মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল।
তিনি বলেন, গত শনিবার হোয়াইক্যং করাচি পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় আমার ভাইসহ ১০ কৃষক ক্ষেতে কাজ করার পর পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করছিলেন। ওই সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একদল অপহরণকারী অস্ত্রের মুখে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে একজন কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। অবশেষে আজ দুই দিন পর সোমবার সকালে অপহৃত নয় কৃষক ২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে আসে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, অপহরণকারীরা প্রথমে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। একপর্যায়ে দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণে অপহৃতদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মুক্তিপণ আদায় করতে অপহৃতদের মারধর করেছে ডাকাতরা। বর্তমানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রত্যেকে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলো- হোয়াইক্যং কানজর পাড়াস্থ করাচি পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। বাকি দুইজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মোজাহার হোসেন বলেন, অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে আমরা শুরু থেকে পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে জানলাম অপহৃত কৃষকরা সোমবার সকালে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
মুক্তিপণের বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মুক্তিপণের কোন তথ্য পুলিশের কাছে নেই।