মো. শহিদ উল্লাহ :
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে টেকনাফে পৃথকভাবে বিজয় র্যালী ও সমাবেশ করেছে বিএনপি দুই গ্রুপ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে পৌরসভা বাস স্টেশন এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল ও সমাবেশ করে টেকনাফ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি। অন্যদিকে বিকেল চারটায় আলো শপিং সেন্টার থেকে জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বিশাল একটি মিছিল পৌরসভার বাস স্টেশন হয়ে উপজেলা পরিষদ ঘুরে বাস স্টেশনে এসে সমাবেশ করে।
বেলা ১২টার সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। এছাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ও পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বাবলুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. কাইয়ুম, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমূখ।
অন্যদিকে বিকেল ৪চার সমাবেশে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চান মো. আব্দুল্লাহ। টেকনাফের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহ্বান জানান। জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ।
সমাবেশে সোলতান আহমদ বিএ বলেন, ৪৭বছর ধরে টেকনাফের মানুষকে শোষণ করেছেন শাহ জাহান চৌধুরী। তাছাড়া টেকনাফে সমাবেশ করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা লোকজন ভাড়া করে আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নেতারা।
বেলা ১২টার সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, টেকনাফে ওসি প্রদীপকে ব্যবহার করে টেকনাফকে খুনে উপজেলাতে পরিণত করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকার। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই, নির্বাচন না দিয়ে কোন ধরনের গড়িমসি করবেন না। আপনার দেওয়া তারিখের মধ্যে নির্বাচন না হলে অসহযোগ আন্দোলন, হরতাল- ধর্মঘটসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে অচল করে দেওয়া হবে।