নিজস্ব প্রতিবেদক:
জলাবদ্ধতা নিরসনে এক বছরে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক)। ৫৭টি খালের মধ্যে বেশিরভাগই সংস্কার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাজী আবদুল আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, গুরুজন ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে করপোরেশনের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের আওতায় ৭৮টি বিদ্যালয় ও ২৪টি কলেজ রয়েছে। এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এখানে একটি কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি। গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৫৭টি খালের মধ্যে বেশিরভাগই সংস্কার করা হয়েছে। অবশিষ্ট খালগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব হয়। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার সচেতনতা মাসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। চসিক মেমন হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) চালু হচ্ছে এবং স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সুবিধাও যুক্ত করা হবে। এগুলো হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্য পূরণে করা হচ্ছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে যাতে তারা বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে নেতৃত্ব দিতে পারে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের ভর্তুকিকে আমরা ব্যয় নয়, বরং জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি।












