টেকনাফ প্রতিনিধি :
চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ফের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের নৌ-রুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে। দুটি ট্রলারে করে যাত্রীদের পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়েছেসেন্টমাটিন দ্বীপে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুইটি ট্রলার জরুরি খাদ্যপণ্য ও সেন্টমার্টিনের ৭৭ জন বাসিন্দাদের নিয়ে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায় দুটি সার্ভিস ট্রলার।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারি সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি রশিদ আহমেদ জানান, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে চার দিন বন্ধ ছিল সবধরনের নৌযান চলাচল। বৃহস্পতিবার-রোববার পযর্ন্ত টানা চার দিনের মধ্যে গতকাল রোববার সকালে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় রোববার সারাদিন কোনো ট্রলার চলাচল করেনি।
ট্রলারের টিকেট বিক্রেতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আজ আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীবাহী এসবি রাফিয়া ও এসবি আশিক নামে ট্রলারে করে ৭৭জন শিশু, নারী ও পুরুষ যাত্রী এবং একটি সার্ভিস ট্রলারে খাদ্য পণ্য তরি-তরকারি বোঝাই দুটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নবী হোসেন বলেন, প্রায় ১০দিন আগে টেকনাফে চিকিৎসা করতে এসে আটকে পড়েছিলাম সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা ।সাগর উত্তাল থাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবার-পরিজন ছিল সেন্টমার্টিন আর আমি ছিলাম টেকনাফে।এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সার্ভিস ট্রলার চলাচল শুরু হলে আমিসহ দ্বীপের প্রায় শতাধিকের মতো শিশু, নারী ও পুরুষরা ট্রলারের সেন্টমার্টিন যাচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, নৌযান চলাচল চারদিন বন্ধ থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো খাদ্যপণ্য না আসায় দ্বীপে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেয়। প্রতিবছর র্বষা এলে দ্বীপের বাসিন্দাদের কষ্ট বাড়ে। আজ সকালের দিকে সেন্টমাটিন জেটিঘাট দিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দ্যেশে ছেড়ে গেছে এসবি ফারুক ও এসবি সাদিয়া নামের দুইটি সার্ভিস ট্রলার।
এখানকার মানুষের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে সি ট্রাক ও সি অ্যাম্বুলেন্স চালু করার জোর দাবিও জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন,‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবধরনের নৌযান চলাচল চারদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। রোববার আবহাওযা অধিদপ্তর সতক সংকেত প্রত্যাহার করেছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হওয়ায় এ রুটে আবার নৌযান চালু করা হয়েছে।