নিজস্ব প্রতিবেদক
।।
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যাতে বিপদে না পড়ে এজন্য চট্টগ্রামে চালু করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের তথ্য কেন্দ্র।
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের সরকারি কার্যভবন-২ এ জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে চালু হয় মাইগ্রেশন ও এন্টি- ট্রাফিকিং তথ্য কেন্দ্র। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহায়তায় এবং ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে মাইগ্রেশন ও এন্টি- ট্রাফিকিং তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিদেশ গমন ও মানবপাচার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উইনরক ইন্টারন্যাশনাল’ সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্য বিবাহ রোধ, মানব পাচার, প্রসিকিউটরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের নানা প্রকল্পের সঙ্গে নতুন প্রকল্প এমটিআইসি’র উদ্বোধন দেশের মানুষের জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করবে। কারণ গ্রামের মানুষ জানে না বিদেশ যেতে হলে কোথায় গিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু এ কেন্দ্র চালু হওয়ার ফলে মানুষ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং মানব পাচার রোধ হবে।
কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে সহকারী কমিশনার শাহীদ ইশরাক, ইউএসআইডির এফএসটিআইপি’র প্রধান সুসান স্টেম্পার, ডেপুটি প্রধান এইচ এম নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২১ সালে ইউএসআইডি-এর অর্থায়নে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বর্তমানে ২৬ টি জেলার ১০১টি উপজেলার ৪২৪টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটির মেয়াদ ৫ বছর। এটার মূল লক্ষ্য বিদেশগামীদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করা । গ্রাম পর্যায়ে এটার কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা যায়। এর কার্যক্রম প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে ৬ জন করে পিআর লিডার নিয়োগ করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়-বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৩ টি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। বৈধ উপায়ে ও নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন, এছাড়াও গন্তব্য দেশের ভাষা ও রীতিনীতি জানতে হবে। সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিদেশ গেলে দেশ ও পরিবারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
বৈধ উপায়ে ও নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন, এছাড়াও গন্তব্য দেশের ভাষা ও রীতিনীতি জানতে হবে। সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিদেশ গেলে দেশ ও পরিবারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে মনে করেন জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।