চট্টগ্রামে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি, চার্টার জাহাজ দিয়ে চলবে বিএসসির তেল পরিবহণ

চট্টগ্রাম

দরিয়া নগর ডেস্ক

৫ দিনের ব্যবধানে পরপর দুইটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটানায় সিকিউরিটি এক্সপার্ট অয়েল ট্যাংকারে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তি এবং বিএসসির প্রতিনিধিসহ ১০ জনের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়। সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি আরো জানান, তেল পরিবহনের টি জাহাজেই আগুন লাগার কারণে দেশে সাগর থেকে তেল নিয়ে আসার আর কোন জাহাজ না থাকায়, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএসসি বিদেশ থেকে একটি চার্টার জাহাজ ভাড়া করেছে। ঐ জাহাজ দিয়েই আপাতত ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড তেল পরিবহণ করবে বিএসসি।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় তেলবাহী দ্বিতীয় জাহাজ বাংলার সৌরভে বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে নোঙর করা তেলবাহী জাহাজ বাংলার জ্যেুাতিতেও বিস্ফোরণে নিহত হন ৩ জন।

উপদেষ্টা বলেন, প্রাণহানি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। এরা খুবই দক্ষ কারিগর ছিলেন, তাদের অভাব পূরণ হবার নয়। তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব বিএসসি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়েছে। । তদন্ত কার্যক্রম শেষে বলা যাবে কেন এ ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, যেহেতু দুটো জাহাজ বিষ্ফোরণের কারণে অকেজো হয়ে গেছে তার বিকল্প হিসেবে অন্যান্য জাহাজের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে লাইটারিং জাহাজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। আমি কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং পোর্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে গিয়ে আগুন নিভিয়েছে এবং সেখানে আটকে পড়া ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে। নেভাল চিফ, বন্দর চেয়ারম্যান, কমান্ডার থেকে শুরু করে সবার সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত আমি তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চীন থেকে জাহাজ ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের একটা টিম জাহাজ ক্রয়ের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আগের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আমরা নেগোসিয়েশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যে দাম নির্ধারণ করেছে সেটা থেকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। জাহাজ আমাদের প্রয়োজন তাই আমরা যাতে সেগুলো কিনতে পারি সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। জাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে দুর্নীতির যে প্রশ্নগুলো উঠছে, মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে দুদকের সাহায্য নিবে এবং দুদক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।